পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমরা যাঁরা সরকারে কাজ করি তাঁরা সবাই জনগণের নজরদারিতে আছি। আর মন্ত্রীরা আছেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়তি নজরদারিতে। তাই সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।
আজ রোববার ‘সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুপুরে এই সভা হয়। এতে জেলার সাংসদ, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মাঠ পর্যায়ে সব প্রকল্পের কাজে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নজরদারি খুব দুর্বল।
আজকের সভায় সভাপতি সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ। সভায় জেলার বিগত দিনের উন্নয়ন এবং উন্নয়নবিষয়ক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।
সভায় এম এ মান্নান আরও বলেন, উন্নয়ন হবে, সরকার টাকা দেবে, কিন্তু দেখতে হবে সেই টাকায় ফল আসছে কি-না। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক—এ কথা উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, সুনামগঞ্জে রেল লাইন আসবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে। মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। এই জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানির সমস্যা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করতে হবে।
হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ বিষয় তিনি বলেন,‘কাজ যথা সময়ে শেষ করতে হবে, এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন, আমি সেটি দেখব। দরকার হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করব। কিন্তু কাজ হবে হবে।’
সভায় হাওর এলাকার শিক্ষকদের হাওর ভাতা প্রদানের প্রসঙ্গ উঠলে মন্ত্রী বলেন,‘এই সরকার খুবই উদার, সরকার শিক্ষকসহ সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়েছে। তবুও অনেকে আছেন সময় মতো কর্মস্থলে যান না। দেখবেন হাওর ভাতা দেওয়ার পর শিক্ষকেরা সময় মতো স্কুলে যাচ্ছে না। তবুও বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন আশুতোষ দাশ, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, সড়ক ও জনপথ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বশির আহমদ সরকার, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা, কৃষকনেতা ওমর চান দাশ প্রমুখ।