এ সরকার লজ্জাহীন: সেলিম
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, এই সরকার লজ্জাহীন। এই সরকার শ্রমিক, সাধারণ মানুষের অন্ন হরণকারী সরকার।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনের সামনে এক সমাবেশে সিপিবি সভাপতি এই মন্তব্য করেন। পল্টনে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ১৮ তম বছরে বিচার দাবিতে দলটি এই সমাবেশ করে।
সরকারের সমালোচনা করে সমাবেশে সেলিম বলেন, ভুয়া ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়, তারা ভুয়া প্রতিনিধি। এই ভুয়া প্রতিনিধিদের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে রুটি রুজির সংগ্রাম চালাতে হবে।
সেলিম বলেন, তাঁদের লড়াই ভাতের জন্য, ভোটের জন্য। ভোট ও ভাতের লড়াই ঠিকমতো না করতে পারলে লুটেরা ধনিক শ্রেণি তাদের স্বার্থে বোমা হামলা চালাবে। প্রগতিশীল আন্দোলনগুলোকে আঘাত করবে। গুম-খুন-হত্যা অব্যাহত থাকবে।
২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, আবদুল মজিদ, শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন শতাধিক। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হামলায় আহত ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় হাসপাতালে মারা যান।
আজকের সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মো. শাহ আলম বলেন, জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো নিঃশেষ হয়নি। শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের মুক্তি আনতে হবে বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। মেহনতি মানুষ সংগঠিত নয়, তাই সবাইকে সংহত ও শক্তিশালী করে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
২০০১ সালে সিপিবির সভাপতি ছিলেন মনজুরুল আহসান খান। তিনি আজ সকালে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সমাবেশে তিনি বলেন, সিপিবিকে তারা দাবায়ে রাখতে চেয়েছিল। বোমা মেরে, পাঁচজনকে হত্যা ও শত মানুষকে আহত করে তারা সিপিবিকে দাবায়ে রাখতে পারে নাই। এই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য শোষণ-বঞ্চনা, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করতে সিপিবি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করছে। পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে তৈরি অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা।
সিপিবির পক্ষ থেকে কাল সোমবার বিকেল চারটায় সারা দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।