লাঙ্গল ও ধানের শীষে জিতলেন যাঁরা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশির ভাগ আসনেই জয় পেয়েছে নৌকা। আসন জয়ের দিক থেকে নৌকার পরেই লাঙলের অবস্থান। আর এর পরের স্থানে আছে ধানের শীষ।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৮৬ আসনের ফলাফলে নৌকা জিতেছে ২৫২ আসনে। লাঙল জয় পেয়েছে ২২ আসনে। অন্যদিকে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জয় পেয়েছে ৬টি আসনে। ছয়টি আসন পেয়েছে অন্যান্য দল।
এরশাদের জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে ভোটে অংশ নিয়ে ঢাকা বিভাগে জিতেছেন পাঁচজন। এঁরা হলেন, আবু হোসেন বাবলা (ঢাকা-৪), কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬), মুজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ ৩), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩) ও সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫)। চট্টগ্রাম বিভাগে দুটি আসনে জয়ী হয়েছে লাঙল; ফেনী-৩ আসনে জিতেছেন মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম ৫ আসনে জয়ী হয়েছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সিলেটে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন পীর ফজলুর রহমান। বরিশাল বিভাগে লাঙল প্রতীকে জয় পেয়েছেন গোলাম কিবরিয়া টিপু (বরিশাল-৩), নাসরিন জাহান রত্না (বরিশাল-৬) ও রুস্তম আলী ফরাজী (পিরোজপুর-৩)। রাজশাহী বিভাগে জয় পেয়েছেন দুজন—শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (বগুড়া-২) ও নুরুল ইসলাম তালুকদার (বগুড়া-৩)।
ময়মনসিংহ বিভাগে লাঙল প্রতীকে জয় পেয়েছেন রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪) ও ফখরুল ইমাম (ময়মনসিংহ-৮)। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৭টি আসনে জয় পেয়েছে লাঙল। জয়ীরা হলেন—রানা মোহাম্মদ সোহেল (নীলফামারী-৩), আহসান আদেলুর রহমান (নীলফামারী-৪), মসিউর রহমান রাঙ্গা (রংপুর-১), এইচ এম এরশাদ (রংপুর-৩), জি এম কাদের (লালমনিরহাট-৩), পনির উদ্দিন আহমেদ (কুড়িগ্রাম-২) ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী (গাইবান্ধা-১)।
অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক জয় পেয়েছে ৬টি আসনে। রাজশাহী বিভাগে ৪টি আসনে জয় পেয়েছে ধানের শীষ। এগুলো হলো: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বগুড়া-৬), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) ও হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার-২ আসনে জয় পেয়েছেন গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। অন্যদিকে রংপুরের ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ধানের শীষে জয় পেয়েছেন জাহিদুর রহমান ।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৮ নভেম্বর। এরপর একবার পুনঃ তফসিল করা হয়। এর ফলে ভোটের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।