ভোটার সরিয়ে কেন্দ্র দখলে নিল পুলিশ
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ নগরের মরগান গার্লস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব দুলাল মিয়া। এরপর থেকেই ওই কেন্দ্রের দরজা বন্ধ। বেলা দেড়টার দিকে যখন তাঁর সঙ্গে কথা হয়, তখন শতাধিক ভোটার ভোট দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। চারজন নারী ভোটকেন্দ্রের ফটকে অবস্থানরত আর্মড পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে উচ্চ স্বরে ঝগড়া করছেন। তাঁদের অভিযোগ, দুই ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে পুলিশ তাদের আটকে রেখেছে। একবার লাঠিপেটাও করেছে।
কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানালেন, ভেতরে সবাই খাচ্ছেন। এ কারণে দেরি হচ্ছে। শুনেই লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন আবার। সবাই বলতে থাকেন, ‘সরকার কী এমন খাওন দিচ্ছে যে দুই ঘণ্টা ধরে খাইতাছে হ্যারায়, আর আমরা খাড়ায়া আছি। বারেবারে আমাগো খালি ধাওয়ায়, মনে হয় চুরি করবার আইছি।’
অবস্থা কী জানতে চাইলে ফটকে অবস্থানরত সদর থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা জানেন না অবস্থা কী। যা হওয়ার হয়ে গেছে।’
বেলা দুইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিনটি গাড়ি সাইরেন বাজাতে বাজাতে এসে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। নিজের হাতে লাঠি নিয়ে ভোট দিতে আসা লোকজনকে তাড়াতে দেখা যায় ওসিকে। কথা বলতে চাইলে লাঠি হাতে সরে যেতে ইশারা করেন।