বিএনপি নিশ্চুপ, আ.লীগ সরব
কুমিল্লার ১১ আসনে গতকাল বৃহস্পতিবার মিছিল-মিটিং করে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রাখেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিকেলে তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জনসভায়ও অংশ নেন। অপর দিকে বিএনপির প্রার্থীরা বেশির ভাগ আসনেই নিশ্চুপ ছিলেন। মিছিলে হামলা, নতুন করে মামলার ভয়ে অনেকেই বের হননি।
কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও বিএনপির প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাউদকান্দি উপজেলা সদরে মিছিল করেন। বেলা তিনটায় কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ গাজীপুর খান সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে নির্বাচনী জনসভা করেন। কুমিল্লা-৩ আসনে দুপুরে মুরাদনগর সদরে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের পক্ষে মিছিল করেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপির প্রার্থী কে এম মজিবুল হক প্রচারণা করেননি। কুমিল্লা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পক্ষে বিকেলে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় মিছিল হয়। কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরুর পক্ষে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় মিছিল হয়। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. ইউনুসের ওপর দুপুরে বুড়িচংয়ের মোকাম বড় মসজিদের সামনে হামলা হয়েছে। কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিনের পক্ষে নগরে মিছিল হয়েছে। কুমিল্লা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফ কংগাই গ্রামে জনসভা করেছেন। কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছিমুল আলম চৌধুরী সন্ধ্যায় বরুড়া পৌরসভার ভূমি কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে জনসভা করেছেন। বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া তাহেরের পক্ষে ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বেলা তিনটায় একযোগে মিছিল হয়। কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. তাজুল ইসলামের পক্ষে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে মিছিল হয়েছে। কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা হয়।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মুজিবুল হকের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও খণ্ড খণ্ড মিছিল হয়। বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নির্বাচনী এলাকায় নেই। তাঁর পক্ষে এলাকায় মিছিলও হয়নি।