বিএনপি-দলীয় নেতাদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ
রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে দলীয় নেতাদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, গত বুধবার একজন থানা যুবদলের সভাপতিকে তুলে নিয়ে পায়ে গুলি করা হয়েছে। একই দিন থেকে ‘গায়েবি’ মামলায় কারাগারে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা এক কর্মীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন বরাবর এসব অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের মালোপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারদলীয় প্রার্থী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন বিএনপির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, গত বুধবার বিকেলে মোহনপুরে থানা যুবদলের সভাপতি বাচ্চু রহমানকে ডিবি পরিচয় দিয়ে সইপাড়া থেকে তুলে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করে বাগামারার বিলে ফেলে যাওয়া হয়। একই দিন বিকেল চারটায় পবা থানার বড়গাছি ইউপির চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে গায়েবি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু তার পর থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আশরাফুলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে বিএনপির নেতারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু বলেন, সারা দেশে যখন নির্বাচনের আমেজ, ঠিক তখন সরকারদলীয় প্রার্থীরা তাঁদের ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তাঁরা বিএনপি, ২০–দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মী, সমর্থক, এমনকি ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর নগ্ন হামলা করছেন। নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, দ্রুত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মোহনপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত বিএনপি, ২০–দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মী এবং ধানের শীষের প্রার্থীরা নির্বাচন ছেড়ে যাবেন না।
এ আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, ০৩৩১২৩৪৫৬৭৮ নম্বর থেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, মহানগর গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আবদুল বারী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলম, নওহাটা পৌর মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।