কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাইফুল ইসলামকে বিজয়ী করতে সব মান–অভিমান ভুলে বিএনপি থেকে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীসহ সব নেতা-কর্মী এককাট্টা হয়েছেন।
করিমগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গত বুধবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষে এক সমাবেশ হয়। এতে সব ভেদাভেদ ও অভিমান ভুলে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী চার প্রার্থী করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জালাল মোহাম্মদ গাউস, জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহসান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ উপস্থিত হন। এ সময় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাইফুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। করিমগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলাম।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আমিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসরাঈল মিঞা, আমিনুল ইসলাম, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সিকদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কিশোরগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী থাকলেও ব্যতিক্রম কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন। এখানে আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান সাংসদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। এদিকে এবার এখানে নতুন মুখ বিএনপির শরিক ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডির সাইফুল ইসলাম। জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও জেএসডির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
এখানে জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট একজন প্রার্থীর বিপরীতে ঐক্যফ্রন্টের একজন নতুন প্রার্থী দেওয়ায় হতাশায় ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও ভোটাররা। শুরুতে মাঠে না নামলেও এখন এ চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা জমিয়ে তুলেছেন নির্বাচনী আমেজ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘এ এলাকার জনগণ আমাকে দেখে নয়, সুষ্ঠু গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ধানের শীষের প্রতীক দেখে ভোট দেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন, তাহলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।’
এখানে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু দলের স্বার্থই বড় স্বার্থ। তাই সব অভিমান ভুলে এবং দলীয় চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীই বিজয়ী হবেন।