আত্মরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকছে না: রিজভী
সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের মতো অপরাধমূলক ঘটনায় পুলিশ কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। তিনি বলেছেন, যেহেতু তাঁরা সরকারি বা বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরিত্রাণ বিষয়ক আশ্রয় পাচ্ছেন না, তাই তাঁদের নেতা-কর্মীদের নিজ থেকেই আত্মরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকছে না।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, আইনগতভাবে প্রত্যেক নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে।
সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, জনসমর্থনহীন ও দিশেহারা সরকার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্যই উসকানিমূলক আচরণ করছে।
সাংবাদিকদের ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রিজভী। তিনি বলেন, জাতির এই ক্রান্তিকালে দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে তাঁদের ভূমিকা আরও বেগবান করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র হিসেবে সিইসি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। হঠাৎ তাঁর এই বক্তব্য গভীর সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। সিইসি নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে পারতেন, কিন্তু নামাননি।
রিজভীর অভিযোগ, পুলিশ ভোটের মাঠে এখন আওয়ামী লীগের লেঠেল বাহিনীতে অবতীর্ণ হয়েছে। তা হলে কেন এই অকল্পনীয় সহিংসতা ও পাইকারি গ্রেপ্তারে দায় সিইসি নিজে না নিয়ে এখন তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন, তা রহস্যজনক। সিইসি তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। তাঁর এই বক্তব্য অশুভ ইঙ্গিতবাহী।
প্রতিদিনের মতো আজও সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন রিজভী। তিনি ধরপাকড় বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।