ঐক্যফ্রন্টকে গণসংযোগে আ.লীগ কর্মীদের বাধা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শহীদউদ্দিন মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারণায় মিছিল-স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহীদউদ্দিন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর কর্মীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরখানে শাহ্ কবির মাজার জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করতে যান শহীদউদ্দিন। এ সময় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্যফ্রন্টের অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন এবং আ স ম রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য দিতে থাকেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কার্যক্রমে বাধা দেন তাঁরা। তখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় মাজার জিয়ারত শেষে নির্বাচনী প্রচারণা না চালিয়ে শুধু গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে মাজারের পেছনের রাস্তায় এলাকা ছাড়েন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পেছন থেকে তাঁদের ধাওয়া করা হয়। পরে উত্তরখান থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গতকালই প্রথমবারের মতো প্রচারণায় নেমেছিলেন শহীদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মাজার জিয়ারত শেষে সমর্থকদের বলেন, ‘আমরা মাজার জিয়ারতে এসেছি। কিন্তু আমাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে এখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচন না করি, নির্বাচন থেকে সরে যাই। কিন্তু আমরা জীবন বাজি রেখেও নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। কারণ, এই নির্বাচন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারে এবং স্বৈরশাসনের হাত থেকে জাতিকে মুক্ত করার নির্বাচন।’
আ স ম রব বলেন, ‘দেশ মহাসংকটে আছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। ভোটের রায়ের মাধ্যমে এই শক্তিকে পরাজিত করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী (শহীদউদ্দিন) মাজার জিয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি আপনারাই দেখছেন। গত কয়েক দিন সারা দেশে আমাদের নেতাদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, গ্রেপ্তার, নির্যাতন এসব চলছে।’