একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে কোনো আমেজ ছিল না। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির (জাপা) রওশন এরশাদ সদর আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন, এটা অনেক দিন আগেই মেনে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী নেতা ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক ওরফে শামীম সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বেশ চমক ও আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন। তবে গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ায় আপাতত সেই চমকের অবসান হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহে কর্মরত প্রায় ২০০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্মেলনকক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আমিনুল হক। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ময়মনসিংহের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশ উন্নয়নকাজও সদর আসনে হয়নি। ময়মনসিংহের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও তরুণ ভোটারদের অনুরোধে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনের পরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলেও জানান।
দীর্ঘ লিখিত বক্তব্যে তিনি বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সাংসদ হিসেবে না পারলেও ময়মনসিংহে ভারী শিল্পকারখানা করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তিনি ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী রওশন এরশাদের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন আছে বলেও মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল হক বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ছিল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।