শিক্ষায় এগিয়ে প্রার্থীরা
গাইবান্ধা জেলার মোট পাঁচটি সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে শিক্ষাগত যোগ্যতার সন্তোষজনক চিত্র পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক অর্থাৎ ২৯ দশমিক ১৬ শতাংশ স্নাতকোত্তর এবং এসএসসি পাস করেননি এমন প্রার্থী মাত্র ২ শতাংশ।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, ৪৮ জনের মধ্যে স্নাতকোত্তর পাস ১৪ জন, স্নাতক পাস ১৩ জন, এলএলবি ৫ জন, এমবিবিএস পাস ৩ জন, প্রকৌশলী ২ জন, পিএইচডি ১ জন, এইচএসসি ৩ জন, এসএসসি ১ জন, অষ্টম শ্রেণি পাস ১ জন, হাফিজি ১ জন, দাওরায়ে হাদিস ১ জন ও স্বশিক্ষিত ৩ জন।
গাইবান্ধা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার গাইবান্ধা নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের আইন প্রণয়ন হয়। এই সংসদ দেশের মূল চালিকা শক্তি। যাঁরা এ নির্বাচনে নির্বাচিত হবেন, তাঁরাই জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন করবেন। তাই শিক্ষিত ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা উচিত।
সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণ ভোটার আবুল হোসেন বললেন, ‘এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেব। কাকে ভোট দেব, তা ভাবিনি। তবে যে প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য, চরিত্রবান তাঁকেই ভোট দেব।’ একই ওয়ার্ডের ভোটার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিগত পাঁচ বছরে সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার ভোটটা বুঝেশুনে শিক্ষিত প্রার্থীকে দেব।