তিনটিতে বিএনপির নতুন মুখ

মোস্তাফিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম ও পারভেজ আরেফিন
মোস্তাফিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম ও পারভেজ আরেফিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁর ছয়টি আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনটিতে প্রার্থী করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক দুই সাংসদকে।

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছালেক চৌধুরী। তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জয়ী হন। ছালেক চৌধুরী এবারও দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন পোরশা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।

জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার প্রতি ভরসা রাখায় দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এ আসনটি আমি উপহার দিতে চাই।’

নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন সামসুদ্দীন চৌধুরী (প্রয়াত)। তবে তিনি ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত আবদুল জলিলের কাছে পরাজিত হন। আবদুল জলিল এ আসনটি মোট নয়বার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হন। এর মধ্যে পাঁচবারই বিজয়ী হন। ২০০৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান দলীয় প্রার্থী ছিলেন। তিনি আবদুল জলিলের কাছে পরাজিত হন। এবারও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন লতিফ খান। তবে তিনি দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে। তিনি এবারই প্রথমবারের মতো প্রার্থী হলেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের একটা বিরাট অংশ নতুন প্রজন্মের ভোটার। নতুন ভোটাররা সব সময় আমাদের মতো তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের পছন্দ করেন। আমি নির্বাচিত হলে নতুন প্রজন্মের জন্য সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। ভোটে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’

 নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী) আসনে দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী। তিনিও প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আলম।

পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড তরুণ প্রার্থী হিসেবে আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমি এর প্রতিদান দিতে চাই।’

অন্য তিনটি আসনে পুরোনোদের ওপরই ভরসা রেখেছে বিএনপি। এর মধ্যে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সাংসদ সামসুজ্জোহা খান। তিনি ছাড়াও এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি খাজা নজিবুল্লাহ চৌধুরী।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সাংসদ সামসুল আলম প্রামাণিক। তিনি ছাড়াও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি একরামুল বারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল মতিন।

নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আলমগীর কবির।