ভোটে নেই বিএনপির অনেক 'পরিচিত' মুখ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০৬ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এবারের নির্বাচনে দলটির নবীন প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। বয়স, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়া এবং কোনো কোনো প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল না করার কারণে বিএনপির অনেক পরিচিত মুখ ভোটে নেই।
দণ্ড হওয়ায় ভোটে নেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই কারণে নির্বাচন করতে পারছেন না।
এবার বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ কারণে তিনি নির্বাচন করছেন না বলে জানিয়েছেন। বয়সের কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার ও মাহবুবুর রহমান। একটি দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াও নির্বাচন করতে পারছেন না। ভারতে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ এবার ভোটে নেই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ১০ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার কারণে সাদেক হোসেন খোকা নির্বাচন করতে পারছেন না। মনোনয়ন অবৈধ হওয়ার কারণে আমিনুল হক ভোটে নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলায় সাজা বহাল থাকার কারণে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম পিন্টু, আহমদ আযম খান, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ওসমান ফারুক ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের নাম নেই বিএনপি ঘোষিত তালিকায়।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোটে জেতাও কঠিন। অবশ্য রিজভী বলছেন, দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিদেশে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন না করার কারণে তিনি ভোটে নেই। দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব-ঊন নবী খান সোহেল মনোনয়ন সংগ্রহ করেও তা জমা দেননি। মনোনয়ন জমা না দেওয়ার কারণ জানাননি কারাবন্দী সোহেল। তবে আলাল বলেছেন, তাঁর পছন্দমতো আসনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনকি মনোনয়ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে কেউ কথাও বলেননি। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও কামরুল ইসলাম নির্বাচন করতে পারছেন না।
একাধিক মামলায় দণ্ডিত হওয়ার কারণে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নির্বাচন করছেন না। তাঁর পরিবর্তে স্ত্রী ভোট করছেন। এ ছাড়া দণ্ডিত হওয়ার কারণে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওহাব ও আবদুল ওদুদ এবার ভোটের মাঠে নেই।