দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৭৮ জন
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে ৭৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আজ শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে ১৫০ জনের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের প্রার্থিতার বৈধতা সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কাল শনিবার আবার তাঁদের ব্যাপারে শুনানি হবে।
আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৭৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন। আর ৬৩ জনের আপিল গৃহীত হয়নি। ফলে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। আজকের আপিলে ৯ জনের আবেদন নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে তাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন কি না, তা কাল জানা যাবে।
শুনানির প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬০ জনের আপিল নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে ৮০ জনের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দেয় কমিশন। বাকিদের মধ্যে ৪ জনের স্থগিত করা হয়। আর ৭৬ জনের মনোনয়নপত্র অবৈধই থাকে।
আজকের শুনানিতে আপিল গৃহীত না হওয়ায় নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী সামির কাদের চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৪ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, পটুয়াখালী-২ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রহুল আমিন হাওলাদার, কুড়িগ্রাম-৪ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), ঢাকা-১ আসনে বিএনপির ফাহিমা হোসাইন জুবলী, মৌলভীবাজার-১ আসনে এবাদুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ আসনে গণফোরামের রেজা কিবরিয়া, জামালপুর-১–এ বিএনপির এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, নেত্রকোনা-১ আসনে এলডিপির এম এ করিম আব্বাসী।
আজ নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিএনপির প্রার্থী ঢাকা-২–এর আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা-৯–এর আফরোজা আব্বাসের ভাগ্য ঝুলে আছে। কাল শনিবার তাঁদের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে আবার শুনানি হবে। দণ্ডপ্রাপ্তির অভিযোগে আমানের আর ঋণ খেলাপের অভিযোগে আফরোজার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।