উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে নির্বাচনে বিএনপির আজিজ
গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর–৪ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের একজন গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ। দলের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা না হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সবুজ সংকেত পেয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আজিজ। তাঁকে নিয়েই নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্থানীয় বিএনপি।
এই আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আরও প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাংসদ মোজাম্মেল হক ও কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক জন গমেজ। আজিজ মূল প্রার্থী হলেও এই দুইজনকে ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে রাখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নাটোর-৪ আসনটি বিএনপির দখলে চলে যায়। মোজাম্মেল হক সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু এক–এগারোর সময় মোজাম্মেল হক এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান শুরু করেন। দলের দুঃসময়ে হাল ধরেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ। পুরস্কার হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল তাঁকে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু বাধ সাধেন সাংসদ মোজাম্মেলের সমর্থকেরা। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আয়নাল হক তালুকদারকে প্রার্থী করা হলেও জয়ী হন আজিজ।
আবদুল আজিজ বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও তৃণমূল বিএনপির সমর্থন পেয়ে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। দল তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। যদিও দলের সিদ্ধান্তে দুজন ডামি প্রার্থী রয়েছেন। আবদুল আজিজ বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণাসহ যাবতীয় কর্মপন্থা ও করণীয় সম্পন্ন হয়েছে। সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ভোট হলে তিনিই নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী। কারণ, সরকারি দলে কোন্দল রয়েছে।
গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোজাম্মেল হক ১ লাখ ১১ হাজার ৬২৬ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে দলের সমর্থক ও ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণে আবদুল আজিজকে নিয়ে স্থানীয় বিএনপি আশাবাদী।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু মুঠোফোনে বলেন, আবদুল আজিজ দলের জনপ্রিয় ও পরীক্ষিত নেতা। সব দিক বিবেচনা করে দল তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। সম্মিলিতভাবে তাঁর পক্ষে জেলা ও তৃণমূল বিএনপি রয়েছে।
সাবেক সাংসদ মোজাম্মেল হক বলেন, এক–এগারোর সময় দলের অনেক শীর্ষ নেতাও এলাকাছাড়া ছিলেন। তিনি এলাকায় না থাকলেও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। এবারও মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দিয়েছেন। দল চাইলে থাকবেন, না হলে প্রত্যাহার করবেন।