জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে টানা বৈঠকে আ.লীগ

দলের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পরও জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানা বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার দুপুর থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ১৪–দলীয় জোটের শরিক দল জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এখন জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক চলছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও জোট শরিকদের নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কিছুটা জটিলতার মধ্যে আছে দলটি। যে কারণে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের পরও এখনো নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কিছুদিন থেকে বলে আসছিলেন, জোট শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০টির বেশি আসন দেওয়া হবে না। যদিও জোটের নেতাদের দাবি এর চেয়েও বেশি আসন।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলেছে, জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ৩১টি, ১৪-দলীয় শরিকদের ১২টি, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টকে ৮টি, ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলকে ৫টি আসন দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রথমে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০টি আসন নিয়ে দর-কষাকষি করেছিল জাতীয় পার্টি। যদিও আওয়ামী লীগ প্রথম থেকে ৪০ থেকে ৪৫টি আসন দিতে চেয়েছিল জাতীয় পার্টিকে। এখন শেষ সময়ে এসে জাতীয় পার্টিকে এর চেয়েও কম আসন দিতে চায় আওয়ামী লীগ। মূলত, এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতেই আজকের টানা বৈঠক।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, ১৪–দলীয় জোটের অনেক দলের চাওয়া আসনসংখ্যা জোটের জন্য আওয়ামী লীগের বরাদ্দ করা আসনের চেয়েও বেশি। এ বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে এসব দলের সঙ্গে বৈঠক করছে আওয়ামী লীগ। আজ আসন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে আগামী রোববার অথবা সোমবার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীসহ জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে। অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোট বা মহাজোটের প্রার্থীদের নাম জানা যাবে।

জোট শরিকদের কম আসন দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ আরেকটি বিষয় চিন্তা করছে। সেটি হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে কেউ যদি মনোনয়ন না পান এবং তিনি যদি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চান, এমন কয়েকজনের জন্য কয়েকটি আসন হাতে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জোট শরিকদের দল থেকে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ কারণে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে না দল। যে কারণে শেষ মুহূর্তে ৬৫টি আসন পর্যন্ত জোট বা মিত্রদের জন্য ছাড় দিতে পারে দলটি।