শেষ মুহূর্তের আলোচনায় দুই ফ্রন্টের প্রার্থী
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় রয়েছেন দুই ফ্রন্টের প্রার্থী। তাঁরা হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক
দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও যুক্তফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আ স ম আবদুর রবের পক্ষে এ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় এ আসনটি যুক্তফ্রন্টকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সাংসদ মো. আবদুল্লাহ গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, আসনটি মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যুক্তফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানকে লক্ষ্য করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি তাঁকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের প্রার্থিতার বিষয়ে সমস্যা দেখা দিলে তাঁর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই আ স ম আবদুর রবের পক্ষে এ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সহসম্পাদক সাবেক সাংসদ এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হারুন-অর-রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল মতিন।
আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, এবারও আসনটি দলীয় প্রার্থী দিয়েই পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন তাঁরা। তবে ঐক্যফ্রন্টের আসন ভাগাভাগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনের স্বার্থে তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন তাঁরা।