দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত রফিকুল ইসলাম মিয়া গ্রেপ্তার
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালত সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ার মামলায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রফিকুলের আইনজীবী ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুল ইসলাম মিয়া সারা দিন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছিলেন। বিএনপির প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কার্যক্রমে ছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
আইনজীবী ইকবাল বলেন, প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কার্যক্রমে উপস্থিত থাকায় রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে তিনি আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন রফিকুল ইসলাম।
রায়ে বলা হয়, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন) অনুসন্ধানে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম মিয়ার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আছে। পরে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৪ (১) ধারায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যেও সম্পদের হিসাব দেননি রফিকুল ইসলাম মিয়া। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৪ (২) ধারার অপরাধ করায় রফিকুল ইসলাম মিয়াকে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ জুন রফিকুল ইসলাম মিয়া সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দেওয়া নোটিশ গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি সম্পদের বিবরণ জমা দেননি। এই অভিযোগে ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর রফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল।