ভোটে ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে সেরা প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করবে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে শক্তিশালী করবে। আসন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই এবং যে দল জনগণের ভোট পাবে, তারা নির্বাচনে জিতবে।’ তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে আমরা একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো সংলাপে বিশেষ কিছু দাবি তুলেছে এবং আমরা সেগুলোর অধিকাংশই মেনে নিয়েছি।’ তিনি বলেন, এখন তাঁর সরকার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিতে সতর্ক থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০টি রাজনৈতিক দলের ২৩৪ জন রাজনৈতিক নেতা সংলাপে অংশ নিয়েছেন, যা ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে এবং তাঁর দল সব সময় চায় উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকুক এবং এই ধারা যাতে থেমে না যায়। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল ৩০০টি নির্বাচনী আসনের প্রতিটিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সেরা প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে কিছু আসন দলের মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রাশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।