অলরাউন্ডার চামেলিকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে
উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার চামেলি খাতুনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেসরকারি উড়োজাহাজের একটি ফ্লাইটে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
চামেলির সঙ্গে তাঁর মা, বোনসহ পরিবারের তিনজন সদস্য ঢাকায় গেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের নিয়ে যান। আজ বিকেলে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে চামেলিকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা রয়েছে।
আজ সকালে চামেলিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের দরগাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এনডিসি আনিসুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চামেলিকে ঢাকায় নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রশাসনের কর্মকর্তারা চামেলির বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেন। পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর চামেলি ঢাকা যেতে সম্মত হন। এরপর তাঁকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
চামেলির গুরুতর অসুস্থতার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক পারভেজ রায়হানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল তাঁর (চামেলি) বাড়িতে যায়। দলটি চামেলিকে জানিয়ে আসে যে, তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন চামেলির বাসায় যান। তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। এ সময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চামেলিকে ১ লাখ টাকা দেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চামেলি জানান, ২০১১ সালে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে স্ট্যাটাস সামনে রেখে প্রস্তুতি চলছিল। ফিল্ডিংয়ের প্রশিক্ষণ চলাকালে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন চামেলি। পরে আবাহনী মাঠে প্রশিক্ষণে গিয়ে আরেক দফা আঘাত পান তিনি। তবে তখন যথাযথ চিকিৎসা নেননি। এই ইনজুরি তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার খাদের কিনারে নিয়ে যায়। পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করাতে পারেননি তিনি। চামেলি আনসার বাহিনীর নারী সদস্য।
মাঝে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন চামেলি। সেখানে পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর অসুস্থতা। চিকিৎসক দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারেননি চামেলি। এর মধ্যে আনসার বাহিনী তাঁকে চিকিৎসাজনিত ছুটি দেয়। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন বাহিনীর সদস্যরাও।
২০১০ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেটে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ক্রিকেট দলের সাফল্যে দলের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।