শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন হবে আগামী বুধবার। ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বাসসকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার চিকিৎসার লক্ষ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেওয়া হবে।’
এই ইনস্টিটিউটে আরও অধিক পোড়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ হবে এবং এখানকার প্লাস্টিক সার্জনরা দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন, উল্লেখ করে সামন্ত লাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় অবস্থিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের পাশে অবস্থিত ১২ তলা এই ইনস্টিটিউটে পোড়া রোগীরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আশা প্রকাশ করেছেন, এই বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে পোড়া রোগীরা উন্নততর চিকিৎসা সেবা পাবেন। বাসসকে তিনি বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিসংবলিত এই ইনস্টিটিউটটি চিকিৎসা, গবেষণা ও অধ্যয়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। ৫০০ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটারবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিণত হবে।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসাসেবার উন্নয়নের প্রতি আন্তরিকতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ইনস্টিটিউটের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করেছে।’ এই ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৫২২ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এই ইনস্টিটিউটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল।