বিএনপি সন্ত্রাসী লালনকারী রাজনৈতিক দল: নাসিম
বিএনপি একটি সন্ত্রাসী লালনকারী রাজনৈতিক দল—এটি স্বীকৃত, পরীক্ষিত ও প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই মন্তব্য করেন নাসিম।
আজ শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিমসহ জোটের বেশ কয়েকজন নেতা কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা ধন্যবাদ জানাই আদালতকে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে এই বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দেশের ১৬ কোটি মানুষ একমত। কয়েকজন খুনি বিশ্বাসঘাতকদের দোসর ছাড়া সমগ্র জাতি এ ব্যাপারে একমত।’ তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড হামলার দুঃখ-বেদনা দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমরা বহন করে আসছি। বিএনপি-জামায়াত সেদিন ক্ষমতায় ছিল। খালেদা জিয়া সেদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২১ আগস্টের হামলার বিচার তো দূরের কথা, তদন্ত পর্যন্ত করা হয়নি। এটা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ১৫ আগস্ট হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে, লালন করেছে। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, রাষ্ট্রদূত বানিয়েছেন, এমপি-মন্ত্রী বানিয়ে পার্লামেন্টে বসিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রতিটি হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে হয়েছে। আর যা-ই হোক, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের কথা মানায় না।
সংবাদ সম্মেলনে জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেমন সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধী দল, ঠিক সে রকম বিএনপি সব খুনিদের আশ্রয়দাতা ও রক্ষাকারী। বিএনপি খুন করায় এবং খুনিদের আশ্রয় দেয়। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে যদি আমরা সকল লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে থাকি, তাহলে গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের জন্য বিপজ্জনক, সন্ত্রাসী রাজনৈতিক খুনি চক্র বিএনপির সঙ্গেও সকল রাজনীতিক লেনদেন সবার বন্ধ করা উচিত। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপিকে শুধু ক্ষমতার বাইরে নয়, রাজনীতির বাইরে রাখাটাও একটি রাজনৈতিক কর্তব্য।’ তিনি বলেন, এই হামলার পর জজ মিয়া দ্বারা ফরমায়েশি মামলা সাজানো হয়েছিল। কিন্তু এই রায়ের মধ্য দিয়ে তার স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয় পরিষ্কার হলো, একটি হলো, বিএনপি জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট দল। দ্বিতীয়টি হলো, বিএনপি এই ঘটনা ঘটানোর জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করেছে।
বৈঠকে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।