রাজশাহীতে 'বন্দুকযুদ্ধে' সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত
রাজশাহীতে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে নগরের কাঁটাখালী থানার মধ্যচর এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান ও ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি ডিবির। তারা বলছে, এ ঘটনায় পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন ওরফে আলো (৪৯)। তিনি গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি চোরাচালানের অভিযোগে করা মামলা ও একটি হত্যা মামলা।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম প্রথম আলোকে বলেন, আলমগীর হোসেন একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নামে নগরের বিভিন্ন থানায় হত্যা ও মাদকসংক্রান্ত ১০টি মামলা রয়েছে।
ইফতে খায়ের আলমের ভাষ্য, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ডিবির একটি দল কাঁটাখালী থানার মধ্যচর এলাকায় অস্ত্র ও মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় একদল সন্ত্রাসী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা পলিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ইফতে খায়ের বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। কয়েক দিন আগে মাদক ব্যবসায়ী আক্কাছের নেতৃত্বে একই এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আলমগীরকেও আসামি করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য আলমগীরের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।