যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এস কে সিনহা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। ওয়াশিংটনে গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
গতকাল রোববার টেলিফোনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এস কে সিনহা রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি এই আশ্রয় চেয়েছেন।
এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এস কে সিনহার একটি আত্মজীবনী সম্প্রতি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এতে সাবেক প্রধান বিচারপতি তাঁর পদত্যাগের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন। ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক এই বইয়ের কপিরাইট ললিতমোহন-ধনাবাতি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের নামে। গত মাসে বইটি প্রকাশের পর এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
বিবিসিকে এস কে সিনহা বলেন, ‘আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি হিসেবে এখানে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়াটা আমাদের দেশ, সরকার এবং মূল্যবোধের জন্য একটা প্রশ্ন...কিন্তু আমার জীবনের নিরাপত্তা কে দেবে?’ কেন তিনি মনে করছেন দেশে তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার জন্য জঙ্গিরা একাধিকবার চেষ্টা করেছে। আমার স্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে। আমার গ্রামের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আত্মজীবনীমূলক বই ‘আ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ নিয়ে এস কে সিনহা বলেন, বইটি তিনি নিজে লিখে নিজের উদ্যোগে প্রকাশ করেছেন, অন্য কারও এতে কোনো ইন্ধন নেই। তিনি বলেন, বইটিতে তাঁর ব্যক্তিগত সব অভিজ্ঞতা তিনি লিখেছেন, যেটা অন্য কারও পক্ষে লিখে দেওয়া সম্ভব নয়। সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বইটিতে কিছু ভুল রয়ে গেছে, মুখবন্ধে আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছি। অন্য কেউ যদি এডিট (সম্পাদনা) করে দিত, তাহলে এই ভুলগুলো থাকত না।’