মানহানির অভিযোগে পৃথক দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

পৃথক ওই দুই মামলায় হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। গত ৩০ আগস্ট চেম্বার বিচারপতির আদালতে তা ওঠে। সেদিন চেম্বার বিচারপতি আবেদন দুটি ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম। ওই মামলায় নড়াইলের আদালতে গত ৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন। যার ওপর ১৩ আগস্ট শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

আরেকটি মামলা হয় ঢাকায়। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন। ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারিক আদালতে নামঞ্জুর হয়। এরপর ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। যার ওপর পরদিন শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের দেওয়া এই দুই মামলার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ আগস্ট পৃথক দুটি আবেদন করেন, যা ৩০ আগস্ট শুনানির জন্য ওঠে।