পুড়ে গেল নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রিয়কের প্রাইভেট কারটি
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আজ শনিবার সকালে একটি প্রাইভেট কার পুড়ে গেছে। এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। প্রাইভেট কারটি ছিল নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মো. ফারুক হোসেন প্রিয়কের।
নাওজোর হাইওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, প্রিয়কের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান শ্রীপুর উপজেলার জৈনার বাজার এলাকা থেকে প্রাইভেট কারটি চালিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের থাকে। এ সময় মেহেদী মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি ওয়ার্কশপের সামনে গাড়িটিকে দাঁড় করান। এর কিছুক্ষণ পরই গাড়িতে আগুন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভান। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকাগামী পথে যানচলাচলে সাময়িক ব্যাহত হয়।
প্রিয়কের চাচাতো ভাই মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রাইভেট কারটি প্রিয়কের খুব প্রিয় ছিল। প্রিয়কের মামাতো ভাই মেহেদী প্রাইভেট কারটির ত্রুটি সারাতে এবং কাগজ নবায়ন করতে আজ সকালে গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
এ বছরের ১২ মার্চ নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রিয়কের সঙ্গেই বিমানের যাত্রী ছিলেন মেহেদী। তিনি ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। আজ আগুনে প্রাইভেট কারটি পুড়ে গেলেও মেহেদী অল্পের জন্য অক্ষত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে গেছেন।
জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে গাড়িতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।