সীতাকুণ্ডের দুই ত্রিপুরা কিশোরী হত্যায় অংশ নেন তিনজন: পুলিশ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গতকাল শুক্রবার যে দুই ত্রিপুরা কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়, তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার এ কথা জানিয়ে পুলিশ বলছে, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের তথ্যমতে এ হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবুল হোসেন নামের এক যুবককে আজ সীতাকুণ্ড পৌর সদরের চৌধুরীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খান জানান, গতকাল রাতে ওই পৌর সদরের জঙ্গল মহাদেবপুর পাহাড় থেকে পুলিন কুমার ত্রিপুরার মেয়ে সুকলতি ত্রিপুরা (১৫) ও সুমন ত্রিপুরার মেয়ে ছবি রানী ত্রিপুরার (১১) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই দুই কিশোরীর ময়নাতদন্ত হয়।
আজ নিহত ছবি রানী ত্রিপুরার বাবা সুমন ত্রিপুরা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। সেখানে আবুল হোসেনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল হোসেন দুই সহযোগীসহ ওই কিশোরীদের হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে অন্য দুজনের নাম বলেননি।
মাহফুজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল হোসেন বলেছেন, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা তিনি।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল হোসেনকে আজই আদালতে তোলা হচ্ছে। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।