অনেকে আছেন, যাদের বিরুদ্ধে লিখলে চাকরি যাবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন মাঠে আছে পুলিশ। এ রাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা পুরোপুরি অকার্যকর করে ফেলেছেন। আইনশৃঙ্খলা-প্রশাসন শেষ হয়ে গেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অনেকে আছেন যাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ও লিখতে দেওয়া হয় না। লিখলে, বললে চাকরি চলে যাবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি, সংগ্রাম ও সফলতার ৩৪ বছর শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, ‘আসুন আমরা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে যে ভয়াবহ দানব সরকার আমাদের সবকিছু লুটে নিয়ে যাচ্ছে, তাকে পরাজিত করি। একই সঙ্গে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দুর্নীতি করলে, জনগণ ও গণতন্ত্রের বাইরে চলে গেলে, সব শক্তি দিয়েও জনমতকে প্রতিহত করা যায় না। তার প্রমাণ করেছে মালয়েশিয়ার জনগণ। এ সময় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সম্ভবত খালেদা জিয়া একমাত্র ব্যক্তি, যাকে হাইকোর্টে জামিন দেওয়ার পর তা স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট শুনানি করছেন। তাঁকে কারাগারে আটকে রেখে আবারও আওয়ামী লীগ একদলীয় নির্বাচন করার চক্রান্ত করছে।
সরকার নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন খুলনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ পুলিশকে দিয়ে গোটা নির্বাচনী মাঠ দখল করে নিয়েছে। গতকালও দলের প্রার্থী মঞ্জুর সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন এরপরও শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবেন এবং জয়লাভ করবেন।
দলের চেয়ারপারসনের বিষয়ে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালনের ৩৪ বছর অতিক্রম করেছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাঁর সারা জীবন সংগ্রাম করে চলেছেন।
এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আলোকচিত্রী বাবুল তালুকদার। অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।