মুর্শেদাসহ সুফিয়া কামাল হলের ২৪ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ
১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে সহসভাপতি মুর্শেদা খানমের পা কেটে রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় বহিষ্কার হন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা। বহিষ্কারের তিন দিন পর ১৩ এপ্রিল তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি। এর তিন দিন পর আজ সোমবার সেই মুর্শেদাকে বহিষ্কার করল ছাত্রলীগ।
শুধু তা–ই নয়, ওই ঘটনায় হল শাখার সংগঠনের ২৪ নেতা–কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা–কর্মীরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল শাখার সহসভাপতি মুর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা, মিরা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহসম্পাদক শ্রাবণী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার, উপতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা।
বহিষ্কৃত কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী লিজা ও মিথিলা ইসরাত চৈতী, চারুকলা বিভাগের সুদীপ্তা মণ্ডল ও অনামিকা দাশ, সংগীত বিভাগের সোনম সীথি, প্রিয়াঙ্কা দে ও প্রভা, ভূতত্ত্ব বিভাগের শিলা ও জাকিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা ও রুনা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগের মিতু, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ জুঁই, বাংলা বিভাগের তানজিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগের তাজ ।
এ ব্যাপারে সাইফুর রহমান সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, সুফিয়া কামাল হলের সেই দিনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় যাঁরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, শুধু তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই হলের সভাপতি ইফফাত জাহান এশা কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় এ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে রাতেই ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠলে এশাকে একাধারে হল, ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে জানা যায়, এশার বিরুদ্ধে পা কেটে দেওয়ার অভিযোগকারী শিক্ষার্থী সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগেরই সহসভাপতি মুর্শেদা খানম। তিনি নিজেই কাচে লাথি দিয়ে পা কেটে ছিলেন। এরপর ১৩ এপ্রিল এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় ছাত্রলীগ।