রমেল চাকমা হত্যার তদন্ত করবে মানবাধিকার কমিশন
রাঙামাটির কলেজ শিক্ষার্থী রমেল চাকমা হত্যার ঘটনার তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আজ সোমবার সংবাদপত্রে পাঠানো কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এ হত্যার তদন্তে কমিশন একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও নানিয়ারচর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমা ১৯ এপ্রিল মারা যান।
মানবাধিকার কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনে করা রমেলের বাবার অভিযোগ উদ্ধৃত করে বলা হয়, রমেল ৫ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর বাজারে বাজার করতে গেলে উপজেলা কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রমেলকে ধরে নিয়ে যান এবং অমানবিক নির্যাতন চালান। এতে রমেল অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং তাঁর অবস্থা শোচনীয় দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁকে না রাখলে রমেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯ এপ্রিল রমেল মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘একজন নিরপরাধ মানুষকে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেলে যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য কমিশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন কমিশনের উপপরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন (সিএইচটি কমিশন) রমেল চাকমাকে আটকের পরে নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্ত কমিটি গঠন ও অপরাধীদের শাস্তিসহ ন্যায়বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সিএইচটি কমিশনের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কমিশনের দুই কো-চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল এবং এলসা স্টামাতোপৌলৌ।