বিখ্যাত লেখকদের বিচিত্র অভ্যাস
আগাথা ক্রিস্টি তাঁর রহস্যকাহিনির প্লট সাজাতেন বাথটাবে শুয়ে আপেল খেতে খেতে।
রঙের ব্যাপারে খুব শুচিবাই ছিল আলেকজান্দার দ্যুমার। তিনি তাঁর সব উপন্যাস নীল রঙের, সব কবিতা হলুদ রঙের আর সব প্রবন্ধ গোলাপি রঙের কাগজে লিখেছেন।
কম্পিউটারের যুগেও হুমায়ূন আহমেদ হাতে লিখতেন। এর কারণ হিসেবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, তাঁর চিন্তা এগোতো কম্পিউটার কিবোর্ডে টাইপ করারও আগে। মেঝেতে পদ্মাসনে বসে ব্যবসায়ীদের ক্যাশবাক্সের মতো কাঠের ছোট্ট ঢালু টেবিলে বসে লিখতেন হুমায়ূন।
জেমস জয়েস লিখতেন বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে। সাদা রঙের কোট পরে একটা বড় নীল কালির পেনসিল দিয়ে লিখতেন তিনি। জয়েসের চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ ছিল বলে এভাবে লেখা।
ট্রুম্যান ক্যাপোটির কুসংস্কার ছিল। তিনি শুক্রবার কোনো লেখা শুরু বা শেষ করতেন না।
দিনরাত একটানা লিখতেন ফরাসি লেখক ওনোরে দু বালজাক। অনরবত কফি খেতেন। একবার টানা ৪৮ ঘণ্টা লিখেছিলেন তিনি।
এডগার অ্যালান পো প্রিয় বিড়াল ক্যাটেরিনাকে মনে করতেন তাঁর লেখার অনুপ্রেরণা। মাঝেমধ্যে তার কাছ থেকে তিনি নাকি ‘মতামত’ও নিতেন।
ভিক্টর হুগো তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস হাঞ্চব্যাক অফ নটর-ডেম লিখেছিলেন উলঙ্গ হয়ে। জামাকাপড় আলমারিতে তুলে রেখে তালা দিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন। উপন্যাসটা কয়েক সপ্তাহে লিখে দেবেন বলে প্রকাশককে কথা দিয়ে ফেলায় এভাবে নিজেকে একটানা লিখতে বাধ্য করেন তিনি।
স্যার ওয়াল্টার স্কট কবিতা লিখতেন ঘোড়ার পিঠে চেপে।
উৎকট দুর্গন্ধ নাকে লাগলে ফ্রেডেরিক শিলারের কলম সক্রিয় হয়ে উঠত। এ জন্য তিনি তাঁর লেখার টেবিলের ড্রয়ারে পচা আপেল রাখতেন। বন্ধু গ্যেটে এই জিনিস আবিষ্কার করে ফাঁস করে দেন।
ভ্লাদিমির নবোকভ ও গারট্রুড স্টেইন লিখতে পছন্দ করতেন পার্ক করা গাড়ির ভেতরে বসে।
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ভোরবেলায় উঠে একটা উঁচু ডেস্কে টাইপরাইট রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লিখতেন। একটা করে পাতা টাইপ করা হলে সেটা মেঝেতে ছড়িয়ে দিতেন। দুপুর পর্যন্ত এভাবে টানা লিখতেন তিনি।